Text Size

20210101 Zoom Visit to Mathurādeśa Devotees

1 Jan 2021|Duration: 00:14:34|English|Darśana|Transcription|Śrī Māyāpur, India

The following is a zoom session with the Mathurādeśa devotees by His Holiness Jayapatākā Swami Mahārāja on January 1st, 2021 in Śrī Dhāma Māyāpur, India.

mūkaṁ karoti vācālaṁ paṅguṁ laṅghayate girim
yat-kṛpā tam ahaṁ vande śrī-guruṁ dīna-tāraṇam
paramānandaṁ mādhavaṁ śrī caitanya iśvaram
Hariḥ oṁ tat sat!

এখন চৈতন্যদেব আসছেন বাংলায়। তিনি নবদ্বীপ ধামে এসেছেন। তিনি বিভন্ন জায়গায়; পশ্চিমবাংলা এবং বাংলাদেশ গিয়েছেন। তারপরে তিনি অন্য জায়গায় গিয়েছেন, কিন্তু প্রথম ২৪ বছর তিনি প্রায় সবসময় বাংলাতেই ছিলেন। এখন চৈতন্যদেবের বিশেষ আদেশে এই যে “বল কৃষ্ণ, ভজ কৃষ্ণ, কর কৃষ্ণের শিক্ষা”। হরেকৃষ্ণ নাম কর, কৃষ্ণ ভজন কর, সেবা কর এবং কৃষ্ণের শিক্ষা কর। দুই প্রকার শিক্ষা আছে, ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতম। ভগবদ্গীতা হচ্ছে তিনার (তাঁর) নিজের মুখপদ্ম বাণী এবং শ্রীমদ্ভাগবতম হচ্ছে ভগবান সম্বন্ধে। এখন এইভাবে গীতা, ভাগবত আমরা অধ্যয়ন করি, প্রচার করি, বিতরণ করি এবং এইভাবে আমারা প্রভুপাদের কাছ থেকে শুনেছি যে এইভাবেই মানুষ্য সমাজের সমস্ত কল্যান হবে। এখন অধিকাংশ মানুষ ভগবানকে ভুলে গেছে এবং ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ এই নিয়ে ব্যস্ত আছে। বিশেষভাবে অর্থ এবং কাম, কিন্তু চৈতন্যদেব বলছেন পঞ্চম পুরুষার্থ হচ্ছে কৃষ্ণপ্রেম। এবং সেই কৃষ্ণপ্রেম যদি সবাই চেষ্টা করি পেতে, সেটি সম্ভব হয় চৈতন্যদেবের অসীম কৃপায়। উনি এসছেন এই কলিযুগের মানুষকে আর্শিবাদ করার জন্য। আমরা সাধারণত এই কলিযুগে আমরা অসীম মায়াবদ্ধ জীব, কিন্তু চৈতন্যদেবের কৃপায় আমরা মুক্ত আত্মা হতে পারি। আমরা ভগবানের অসীম কৃপা পেতে পারি। এখন ভগবান চৈতন্যদেবের ভক্ত হচ্ছে ওনার বিশেষ প্রিয়জন। সেভাবে আমাদের বলাহয়েছে যে, সব ভক্ত যাতে পরস্পর ভালো ব্যবহার করে এবং যাতে বৈষ্ণব অপরাধ না হয় সেটির চেষ্টা করি। মানুষের সাধারণত ভুল হবে, কিন্তু তার জন্য এখন যে কৃষ্ণভক্তি করে, সেটি হচ্ছে সবথেকে প্রসিদ্ধ জিনিস। আমি খুবই খুশি যে, এখানে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ বাঙ্গালী ভক্ত বিভিন্ন দলে অংশগ্রহণ করেছে। তিনটি বড় গ্রুপ প্রায় ছয়শ করে আঠরশ এবং মাঝারী গ্রুপ প্রায় তিন-চারশ, তাই আমি অত্যন্ত খুশি আছি। নিশ্চই সেটি চৈতন্যদেব কৃপা করবেন আপনাদের উপরে। এখন ডাটা (ইটারনেটের), কিছু Costly (ব্যয়বহুল) আছে মধ্যপ্রচ্যদেশে। আশকরি আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন; আমি জানি না কোন নেটওয়ার্কে কোন সুবিধা হয়। কোন নেটওয়ার্কের কম দাম হবে। কিভাবে কম দামে করে ক্লাস করা যায়; পরস্পর অনলাইনের মাধ্যমে সঙ্গ করতে পারেন। হয়তো গ্রুপে মিলে করলে সুবিধা হতে পারে। যাই হোক আপনারা চেষ্টা করছেন বিভিন্নভাবে। হয়তো একজন বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ থাকলে; এভাবে পরিবারের সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এখন ভগবানের চরনের সেবা করলে ভগবানের অসীম কৃপা হয়। আমরা পড়ছিলাম যে, সার্বভৌম ভট্টাচার্য তিনি বৃহস্পতির অবতার। এবং চৈতন্যদেব বলছেন; জন্ম জন্মান্তরে ওনার (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর) দর্শন পাওয়ার জন্য আশা করেছিলো। তাই চৈতন্যদেব তাঁকে দর্শন দিলেন। ওনার নারায়ণ রূপ, কৃষ্ণ রূপ তারপরে ষড়ভূজ চৈতন্য রূপ দেখালেন। এইভাবে সর্বভৌম ভট্টাচার্য তাঁর বিভিন্ন রূপ দর্শন করে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। মানুষের সাধারণত ভুল হবে, কিন্তু তার জন্য এখন যে কৃষ্ণভক্তি করে, সেটি হচ্ছে সবথেকে প্রসিদ্ধ জিনিস। আমি খুবই খুশি যে, এখানে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ বাঙ্গালী ভক্ত বিভিন্ন দলে অংশগ্রহণ করেছে। তিনটি বড় গ্রুপ প্রায় ছয়শ করে আঠরশ এবং মাঝারী গ্রুপ প্রায় তিন-চারশ, তাই আমি অত্যন্ত খুশি আছি। নিশ্চই সেটি চৈতন্যদেব কৃপা করবেন আপনাদের উপরে। এখন ডাটা (ইটারনেটের), কিছু Costly (ব্যয়বহুল) আছে মধ্যপ্রচ্যদেশে। আশকরি আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন; আমি জানি না কোন নেটওয়ার্কে কোন সুবিধা হয়। কোন নেটওয়ার্কের কম দাম হবে। কিভাবে কম দামে করে ক্লাস করা যায়; পরস্পর অনলাইনের মাধ্যমে সঙ্গ করতে পারেন। হয়তো গ্রুপে মিলে করলে সুবিধা হতে পারে। যাই হোক আপনারা চেষ্টা করছেন বিভিন্নভাবে। হয়তো একজন বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ থাকলে; এভাবে পরিবারের সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এখন ভগবানের চরনের সেবা করলে ভগবানের অসীম কৃপা হয়। আমরা পড়ছিলাম যে, সার্বভৌম ভট্টাচার্য তিনি বৃহস্পতির অবতার। এবং চৈতন্যদেব বলছেন; জন্ম জন্মান্তরে ওনার (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর) দর্শন পাওয়ার জন্য আশা করেছিলো। তাই চৈতন্যদেব তাঁকে দর্শন দিলেন। ওনার নারায়ণ রূপ, কৃষ্ণ রূপ তারপরে ষড়ভূজ চৈতন্য রূপ দেখালেন। এইভাবে সর্বভৌম ভট্টাচার্য তাঁর বিভিন্ন রূপ দর্শন করে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। তারপর চৈতন্যদেব তাঁর চরনকে ওনার বুকে দিয়েছেন। তারপর সর্বভৌম ভট্টাচার্য চৈতন্যদেব এর বিভিন্ন স্তুতি ও প্রার্থনা করলেন। উনি বললেন চৈতন্যদেব তুমি আমার প্রাণনাথ। দীর্ঘদিন ধরে আমি আপনাকে খুজছিলাম, আজকে আমি পেয়েছি। এইভাবে চৈতন্যদেবের চরণ পাওয়ার জন্য কত দূর্লভ। আর এ.সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের দ্বারা এটি একটি বিশেষ সুযোগ আপনারা সকলে পেয়েছেন। তো আশা করি এইভাবে আরো লোকজন যাতে কৃষ্ণভক্তিতে আসতে পারে সেটির চেষ্টা করবেন। আমরা তো দেহ নই, আমরা নিত্য শ্বাশত আত্মা। এবং আমাদের এইভাবে স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরকে সহযোগীতা করে এবং তারা যাদি চৈতন্যদেবের আদেশ পালন করে, সেভাবে তাদের জীবন স্বর্থক হবে। চৈতন্যদেব; আমাদের আচার্যবৃন্দ বলেছিলেন— “গৃহে থাক বনে থাক, সদা হরি বলে ডাক”। এখন এই ভৌতিক জগতে বিভিন্ন অসুবিধা আছে। এখানে থাকার মতো উপযুক্ত জায়গা নয়। এই জন্মের পর যদি ভগবানের নিত্য ধামে ফিরে যাওয়া যায়; এটা হচ্ছে আমাদের পরম লক্ষ্য। এখন যতক্ষন আমরা এই জগতে আছি আমরা চেষ্টা করব এটি পালন করতে; (Good use bad bargain, Prabhupāda Said)। ভৌতিক জগতে থাকলে এটি একটি খারাপ যুক্তি, কিন্তু এর মধ্যে যদি কৃষ্ণসেবা নিয়ে আমরা করতে পারি, এটি আমাদের ভালো উপকার হবে। হরিবোল! [paragraph]

- END OF TRANSCRIPTION -
Transcribed by JPS Archives
Verifyed by JPS Archives
Reviewed by JPS Archives

Lecture Suggetions